জীবনে চলার পথে এই টিপসগুলো মনে রাখবেন তাহলে দেখবেন জীবন আরো সহজ হয়ে উঠবে

 

জীবনে চলার পথে এই টিপসগুলো মনে রাখবেন তাহলে দেখবেন জীবন আরো সহজ হয়ে উঠবে

জীবনে চলার পথে এই টিপসগুলো মনে রাখবেন তাহলে দেখবেন জীবন আরো সহজ হয়ে উঠবে


প্রয়োজনীয় কিছু টিপস জেনে রাখা ভালো 

যদি কাঠবাদামের খোসা ছাড়াতে কষ্ট হয়, তাহলে বাদামগুলোকে গরম জলে অন্তত ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। খোসা নরম হয়ে সহজেই উঠে আসবে।

আপনার চিনির বয়ামে খুব বেশী পিঁপড়ার আক্রমণ হচ্ছে? বয়াম এর মুখ খুলে চিনির উপর ৩-৪ টি লবঙ্গ রেখে দিন। পিঁপড়ে বাপ বাপ করে পালিয়ে যাবে।

আপনি যদি বিস্কুটের বয়ামের নিচে এক টুকরো ব্লটিং পেপার রাখেন, তাহলে সেই বয়ামে রাখা বিস্কুট সহজে নষ্ট হবে না। বরং সেগুলো শুষ্ক ও মচমচে রাখতে পারবেন অনেক দিন ধরে।

বাজারের সাধারণ মাখন ব্যবহার যত কম করবেন ততই ভালো। বাজারে লো স্যাচুরেটেড ফ্যাট বহনকারী আলাদা মাখন পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকি একেবারেই কম

কাটা আপেলের উপর হালকা করে লেবুর রস লাগিয়ে দিন। আপেল লালচে হবে না। বরং ফ্রেশ দেখাবে অনেক দিন ধরে

যদি চামড়ায় কোথাও পুড়ে যায়, ঠান্ডা জল ঢেলে দিন। এরপর পাকা কলা চ্যাপ্টা করে নিয়ে পোড়া স্থানে লাগিয়ে দিন। জ্বলুনি একদম কমে যাবে।

রান্নাঘরে পোকা কামড় দিতেই পারে। যদি হুলের যন্ত্রণা বেশি হয় তাহলে চুইংগাম চিবিয়ে তার সাথে ১ ড্রপ জল মিশিয়ে হুল ফোটা স্থানে চেপে ধরুন।কয়েক মিনিটেই ব্যথা মিলিয়ে যাবে।

করলা মাঝখানে কেটে নিয়ে তার ভেতরে লবণ, ময়দা এবং দই এর মিশ্রণ ঢুকিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন। এরপর কেটে রান্না করুন, স্বাদ বেড়ে যাবে দ্বিগুণ!

জিরা ফ্রেশ রাখতে চাইলে কী করবেন? খুবই সহজ।জিরাগুলোকে এলুমিনিয়াম ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে নিশ্চিন্তে ফ্রিজের এক কোণায় রেখে দিন। এরপর ভুলে যান।যখন প্রয়োজন হবে, ফ্রেশ ফ্রেশ জিরা পাবেন।

পাত্রে যদি খাবারের পোড়া দাগ লেগে যায়, অনেক সময় ঘষেও তোলা যায় না।এই ক্ষেত্রে কী করবেন?

রান্নাঘরে গিয়ে অল্প কিছু পেঁয়াজ কেটে নিন।এরপর খাবার পোড়া পাত্রে গরম জল ঢেলে তাতে পেঁয়াজ কুচি রেখে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর পরিষ্কার করুন। দেখবেন পোড়া দাগ উঠে গেছে।

সবজি কাটার জন্য কাঠের চপিং বোর্ড ব্যবহার করুন।প্লাস্টিকের গুলো ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কারণ প্লাস্টিকের কুচি সবজির সাথে খাবারে চলে যেতে পারে।

যদি তাজা ধনে পাতা কিংবা পুদিনা পাতা না পাওয়া যায়, আপনি বাজারে এর রেডিমেড গুঁড়ো কিনতে পাবেন।আর এই গুঁড়োকে তাজা এবং ফ্রেশ রাখতে চাইলে মসলিন কাপড়ে মুড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। অনেক দিন ফ্রেশ থাকবে।

রান্নাঘরে খুব তেলাপোকার উপদ্রপ? রান্না ঘরের সিংকের নিচে এবং কোণাগুলোতে বোরিক পাউডার ছড়িয়ে দিন। তেলাপোকা রান্নাঘর তো বটেই, বাড়ি ছেড়ে পালাবে।

যদি পাকা নারকেলের শাঁস তুলতে কষ্ট হয়, তাহলে আধ ঘন্টা গরম জলে ফুটিয়ে রাখুন।এরপর দেখবেন সহজেই উঠে আসছে।

যাদের সিলিণ্ডার ক্যারিয়ার নেই তারা থার্মোকলের টুকরোর ওপর গ্যাস সিলিণ্ডার রাখুন। গ্যাস সিলিণ্ডারেও যেমন মরচে পড়বে না, মেঝেও মরচের দাগ থেকে রেহাই পাবে।

গ্যাস ওভেন-এ রান্নার সময় কিছু উপচে পড়ে গেলে লবন ছিটিয়ে দিন। ওভেন ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পোড়া জিনিসগুলো ভিজে স্পঞ্জ দিয়ে ভালভাবে মুছে দিন।

রাতের দিকে বেসিনের পাইপের মুখে মাঝে মাঝে আধ কাপ মত ভিনেগার ঢেলে দিয়ে রাখুন। সকালে দু’মগ জল ঢেলে দিলেই বেসিনের পাইপ পরিষ্কার থাকবে।

সিঙ্কের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে লবন ফুটিয়ে সিঙ্কের মুখে ঢেলে দিন। পরিষ্কার হয়ে যাবে।

বালতি বা ড্রাম ফুটো হয়ে গেলে ঐ জায়গা পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে ধুনো গুঁড়ো করে নারকোল তেল এবং সাবান মিশিয়ে মিশ্রণটি লাগান, ফুটো বন্ধ হয়ে যাবে।

আস্ত ধনেতে পোকা ধরেছে বলে ফেলে দেবেন না। ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রেখে মাটিতে ছড়িয়ে দিন। ধনে পাতার চাষ হবে আপনার বাগানে।

দই যদি নষ্ট হয়ে যায় তো ফেলে দেবেন না। বাড়িতে কারি পাতার গাছ থাকলে তার গোড়ায় মাটিতে দিন। এতে পাতার তেজ ও সুগন্ধ দুই-ই বাড়বে।

অ্যাকোরিয়ামের জল ফেলে দেবেন না। গাছের গোড়ায় দিন। সার হিসেবে চমৎকার কাজ করবে।

কাজুবাদাম ব্যবহারের সময় খোসাটা ফেলে দেওয়া হয়। ঐ ফেলে দেওয়া খোসাই গোলাপ গাছের সেরা সার।

ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ঐ চা’পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা’পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় ঘরের সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।

মশা তাড়াবার একটা সহজ উপায় হল, কয়েক টুকরো কর্পূর আধকাপ জলে ভিজিয়ে খাটের নীচে রেখে দিন। তারপর নিশ্চিন্তে ঘুমান।

কয়লা বা কাঠ-কয়লার আগুনে নিমপাতা পড়লে যে ধোঁয়া হবে তাতে সবংশে মশা পালাবে।

লোডশেডিঙের সময় যদি হ্যারিকেন বা কাঁচ ঢাকা বাতিদানি জ্বালান তবে তার ওপর দু-একটা ব্যবহৃত মশা মারার রিপেলেন্ট রেখে দেবেন। আলোর সঙ্গে সঙ্গে মশা তাড়ানোর কাজও হবে।

প্রতিদিন নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো ধুনোর সঙ্গে ব্যবহার করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ঘরের মধ্যে মশার উৎপাত কমাতে চাইলে, ঘরের বৈদ্যুতিক আলোটি হলুদ সেলোফেনে জড়িয়ে দিন।
এর ফলে হলুদ আলো হবে। দেখবেন মশা কমে গেছে, কারণ মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকতে চায়।

মাছি তাড়াতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করুন। ছোট গ্লাসে একটু পানি নিয়ে তাতে ৫/৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন অন্তর পানি বদলে দেবেন। জল অনুকূল হলে কিছুদিনের মধ্যে পুদিনা চারাও গজিয়ে যাবে গ্লাসে।

নিমপাতা ভেজানো বা সেদ্ধ জলে ঘর মুছুন। পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমবে। নিমপাতা তোশক বা গদির তলায় রাখুন পোকামাকড় হবে না।

 অনেক সময় ঘরে বা রান্নাঘরে সাপ ঢুকে যায়। কিছুটা রসুন বেটে কাপড়ে বেঁধে ঘরের কোণে রেখে দিলে ঘরের ভিতর সাপ ঢুকবে না।

নিমপাতা পচা সার গাছে পোকা লাগতে দেয় না।

বাচ্চাদের ঘরে মাছি, পিঁপড়ে হয়। যদি লবন ছিটিয়ে ঘর মোছা যায়, পিঁপড়ে মাছি কম হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করে সকলকে জানার সুযোগ করে দাও