𝗗𝗲𝗮𝗿 𝗦𝘁𝘂𝗱𝗲𝗻𝘁𝘀,
ABBangla.Com এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তোমাদের সকলকে স্বাগত জানাই।
আজ তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো, ICDS অঙ্গনওয়াড়ি শিশুদের টিকাকরণ বিষয়ে রচনা যেগুলি তোমরা প্র্যাকটিসের মাধ্যমে খুব সহজেই আগত অঙ্গনওয়াড়ি পরীক্ষায় সফল হতে পারবে। তোমরা যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে রেগুলার আপডেট পেতে চাও তাহলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারো আমাদের Whatsapp ও Telegram চ্যানেলের লিংক উপরে দেওয়া রয়েছে লিংকে ক্লিক করে জয়েন হয়ে যাও।
অঙ্গনওয়াড়ি শিশুদের টিকাকরণ বিষয়ে রচনা
ভূমিকা :- যে জৈব রাসায়নিক যৌগ যা অ্যান্টিবডি তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোনো একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা জন্মাতে সাহায্য করে তাকে টিকা বলে। আর যে কর্মসূচির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করা হয় তাকে টিকাকরণ বলা হয়। টিকাকরণ পদ্ধতি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড জেনার।
টিকাকরণ :- ভারতবর্ষে প্রতিবছর 2 কোটির বেশি শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। 10 জনের মধ্যে 1 জন শিশু একবছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যায়। এই ধরনের শিশু মৃত্যুর ঘটনার অর্ধেকেরও বেশি রোধ করা যায় একটি সহজ প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণের দ্বারা সেটি হলো টিকাকরণ কর্মসূচি। আমাদের রাজ্যে ও জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুর জন্মের পর টিকা দেওয়ার এই কর্মসূচি সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, মা ও শিশু সেবা কেন্দ্রে এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ করে টিকাকরণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি দিবসের মাধ্যমে টিকাকরণ করা হয়ে থাকে।
শিশুর জন্মের সাথে সাথে বা 12 মাসের মধ্যে টিকাকরণ :- এই সময় যক্ষণা প্রতিরোধ করার জন্য শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। যকৃতের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য হেপাটাইটিস বি টিকা দেওয়া হয় এবং পোলিও প্রতিরোধের জন্য ওপিডি টিকা দেওয়া হয়। দেড় মাসের মধ্যে টিকাকরণ এই সময় শিশুকে পোলিও রোগ প্রতিরোধের জন্য ওপিডি এবং আইপিডি টিকা দেওয়া হয়। হুপিং কাশি, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি এবং হিমোফিলিয়ার সংক্রমণ গুলি প্রতিরোধ করতে পেস্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া হয়। নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে পিসিডি টিকা দেওয়া হয় এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে রোটা টিকা দেওয়া হয়।
আড়াই মাসের মধ্যে টিকাকরণ :- এই সময় শিশুকে পোলিও রোগ প্রতিরোধের জন্য ওপিডি টিকা দেওয়া হয়। হুপিং কাশি, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি এবং হিমোফিলিয়ার সংক্রমণ গুলি প্রতিরোধ করতে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া হয় এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে রোটা টিকা দেওয়া হয়।
সাড়ে তিন মাসের মধ্যে টিকাকরণ :- এই সময় শিশুকে পোলিও রোগ প্রতিরোধের জন্য ওপিডি এবং আইপিডি টিকা দেওয়া হয়। হুপিং কাশি, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি এবং হিমোফিলিয়ার সংক্রমণ গুলি প্রতিরোধ করতে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া হয়। নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে পিসিডি টিকা দেওয়া হয় এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে রোটা টিকা দেওয়া হয়।
9 মাসের মধ্যে টিকাকরণ :- এই সময় শিশুর নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে পিসিভি টিকা দেওয়া হয়। হাম, মাম্পস, রুবেলা প্রতিরোধ করতে এমএমআর টিকা দেওয়া হয়। মস্তিষ্কের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এনসেফালাইটিস টিকা দেওয়া হয়।
দেড় বছরের মধ্যে টিকাকরণ :- এই সময় শিশুদের পোলিও প্রতিরোধ করতে ওপিডি টিকা দেয়া হয়। হাম, মাম্পস, রুবেলা প্রতিরোধ করতে এমএমআর টিকা দেওয়া হয়। মস্তিষ্কের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এনসেফালাইটিস টিকা দেওয়া হয়। হুপিং কাশি, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস প্রতিরোধ করতে ডিপিটি টিকা দেওয়া হয়।
তিন বছরের মধ্যে টিকাকরণ :- শিশুদের এই সময় ওপিডি বুস্টার, ডিপিটি বুস্টার, মিজলস টিকা দেওয়া হয়। যা শিশুকে ডিপথেরিয়া, হাম, টিটেনাস, পোলিও, হুপিং কাশি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
16 বছর পর্যন্ত টিকাকরণ 5 বছর পর্যন্ত শিশুকে ডিপিটি বুস্টার দেওয়া হয়। যা শিশুকে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি ও টিটেনাস প্রতিরোধে সাহায্য করে। পরবর্তী সময়ে টিটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয় যা টিটেনাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
উপসংহার :- শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম। এই কর্মসূচির দ্বারা শিশুরা বিভিন্ন মারণ রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। যা শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কমিয়ে দেয়। এজন্য সরকার নির্দেশিত নিয়মাবলী মেনে সময়মতো শিশুদের টিকাকরণ করানো উচিত। এইজন্য পরিবারের সকল সদস্যকে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
🙏 এই পোস্টটি শেয়ার করো প্রয়োজনীয়দের কাছে